রবিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

(৬) ৫ মে হেফাজতে ইসলামের উপর গণহত্যার নির্মম ইতিহাস - সোহাগ আহমেদ

৫ মে কি হয়েছিল এবং কেন হয়েছিল আমরা কম বেশি সবাই জানি।তাই কোন ভুমিকা দিতে চাচ্ছি না।এই নোটে আমি সেদিনের কিছু চিত্র তুলে ধরব যেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম উম্মাহর এই সিংহ বীর শহীদদের স্মরণ রাখে।আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে যারা জীবন দিল তাদের কেউ যেন ভুলে না যাই।ঠিক কত যন মানুষ সেদিন শহীদ হয়েছিল এই হিসাব কারো কাছে নেই।দেশের বিভিন্য প্রান্ত থেকে সেদিন ঈমানের দাবিতে মানুষ ছুটে এসেছিল ঢাকার মতিঝিলে।কে কোথায় থাকে কার বাড়ী কোথায় কেউ জানত না।তাই সেদিন যারা গণহত্যার শিকার হয় হেফাজতে ইসলাম প্রত্যেকের পরিচয় জানত না।লাশের হিসাব করাও তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।সেদিনের গণহত্যার চিত্রগুলি এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে আমরা অনুমান করতে পারি ঠিক কত মানুষ সেদিন শহীদ হয়।হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ ৫ মে ২০১৩- এ তাদের পূর্বে ঘোষনাকৃত ১৩ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের ঢাকা অবরোধের ডাক দেয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হেফাজত ইসলামের কর্মীরা ঢাকার প্রতিটি প্রবেশমুখে অবস্থান নেন।





এ সময় তারা ১৩ দফা দাবি ও নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকে।








দুপুরের মধ্যে মানুষের ভীরে পুরো মতিঝিল এলাকায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে।একারনে অনেককে মতিঝিলের বাইরে অবস্থান নিতে হয়। পল্টন সহ ঢাকার আশে পাশে যারা অবস্থান নিয়েছিল তাদের অনেকটা একলা পেয়ে যায় পুলিশ ও আওয়ামীলীগের পেটুয়া বাহিনি।পল্টোনে অবস্থান রতদের উপর দুপুর থেকেই গোলাগুলি করতে থাকে পুলিশ









পুলিশের সাথে হামলায় যোগ যোগ দেয় আওয়ামিলীগের বিভিন্য পেটুয়া বাহিনী















শহীদদের লাশ নিয়ে আসা হয় শাপলা চত্তরে



পুলিশের প্রতি হেফাজত কর্মীরা প্রথম থেকেই ছিল সহনশীল ও ভাত্রিত্তপূর্ণ সহাবস্থানে


বিকাল থেকে শাপলা চত্তরে হেফাজত ইসলামের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের বক্তৃতা চলতে থাকে শাপলা চত্তরে।এদিকে ঢাকার বিভিন্য স্থানে একের পর এক হেফাজত কর্মীদের শহীদ হওয়ার খবর আসতে থাকে।সন্ধা থেকে একের পর এক লাশা আসতে থাকে শাপলা চত্তরে।শহীদ লাশ নিয়ে কয়েক দফা মুনাজাত হয় আল্লাহর দরবারে।এ সব কিছুই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সরাসরি প্রচার করছিল দিগন্ত টিভি ও ইসলামি টিভি।


আল্লামা সফিকে শেষ পর্যন্ত সমাবেশে আসতে দেয় নি সরকার,তিনি লোক মারফত জানিইয়ে দেন ১৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী চালিয়ে যাবার ঘোষয়ান দেন,তিনি ধৃর কন্ঠে জানিয়ে দেন ১৩ দফা না মানলে একজন হেফাজত কর্মীও বাড়ী ফিড়বে না


এভাবে একের পর এক হেফাজত নেতার বক্তব্য দিয়ে রাত পার হতে থাকে।অনেক হেফাজত কর্মী  তখন ঘুমিয়ে পড়েন


রাত দুইটার পর ইন্ডিয়ান ভাড়াটিয়া বাহিনী ও এদশেয়ী তাগুতি আর্মস ঘুমন্ত হেফাজত কর্মীদের উপর গনহত্যার প্রস্তুতি নিতে থাকে।


এর আগে সমস্ত মিডিয়া কর্মীদের শাপলা চত্তর থেকে শরীয়ে নেয়া হয় ও বিদ্যুৎ সংযোগ বনহ করে দেয়া হয়।


বিজিবি র‍্যাব ছাড়া বিপুলসংখ্যক বিদেশি সশস্ত্র লোক দিয়ে আচমকা সমাবেশস্থলে ব্রাশ ফায়ার শুরু করে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সেই ব্যাপক হত্যাযজ্ঞে কমপক্ষে দুই হাজার নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করে।আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি।
























অনেক লাশ গুম করা হয়েছে। ভোরের আলো ফোটার আগেই সিটি করপোরেশনের ময়লা বহনের গাড়িতে করে বিপুলসংখ্যক লাশ সরিয়ে ফেলা হয়। 









৫ মে মধ্যরাতে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি বাহিনী যা ঘটিয়েছিল তার  ভিডিওঃ www.youtube.com/watch?v=4utxGxmVIdY

নিচের ভয়াবহ এই ভিডিওটা না দেখলে আপনার সবকিছুই অজানা রয়ে যাবে !কতটা নির্মম ভাবে মারা হল এই ভিডিওটা তার জলন্ত প্রমান । ভিডিওটা অবশ্যই অবশ্যই দেখবেন http://www.youtube.com/watch?v=0wfFspET-Q4

নিচের ছোট্ট ভিডিওটাও দেখেন ... জাতীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন রইলো যে " অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে থাকা একজন হুজুরকে এইভাবে মারার অর্থ কি ?
ডাউনলোড লিংকঃ http://www.2shared.com/video/btF0YI2R/hefajot3.html

৬ মে ভোর ৫ টার দিকে যা ঘটে ছিল তার ভিডিও :ডাউনলোড লিংকঃ http://www.2shared.com/video/4Yf-A84f/hefajot5.html

রাতের বেলায় হেফতের এক কর্মীর উপর হায়েনা পুলিশের তান্ডবঃ

পুরো ঘটনার একটি ডকুমেন্টারিঃ http://www.youtube.com/watch?v=cfN6KlqoMOM

লাশ গুম করার অনন্য একটি  ভিডিয় http://www.youtube.com/watch?v=qJQb8utuPv8

রাস্তায়  রক্তের বন্যাঃ http://www.youtube.com/watch?v=AvNhU5adzFE

দিনের বেলায় যেভাবে আলীগ ও পুলিশ হেফাজতের উপর আক্রমণ করেঃ http://www.youtube.com/watch?v=QVWGHBD7P_0



 হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের দাবি যে ৫ মে গাড়ীতে আগুন দেওয়া, কোরআন পুরানোর নামে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ষড়যন্ত্র । নিচের ভিডিওটি নিঃসন্দেহে প্রমান করে যে গাড়ীতে আসলে আগুন দেওয়া হয়েছিল আওয়ামীলীগের কর্মীদের দ্বারা ।  হাউজ বিল্ডিং অফিসে কারা জ্বালাও পোড়াও ভাংচুর করেছে তার প্রমাণ পাবেন। মাথায় হেলমেট পরে কারা ৫ ই মে সেদিন পল্টনে ছিলো সেটা সবাই দেখেছেন টিভিতে/ সরাসরি । আপনি অবাক হবেন এটা দেখে যে - এই হেলমেট পরা লিডারদের সাথে মাথায় টুপি পড়া কয়জনও গাড়ি ভাংছে। আসলে তারা টুপি পড়ে যে হেফাজতের বেশ ধারন করেছিল তা নিশ্চয়ই টের পাবেন ভিডিওটি দেখে ! হেফাজতের লোকদের ভেতরে যে ভাংচুর-জালাও-পোড়াও করার জন্য হেফাজত সেজে ইনফিল্ট্রেটর ঢুকেছিল আশা করি সন্দেহ কাটবে। অথচ এই হুজুরগুলোর গায়ে সব মিথ্যা অপরাধের কলংক চাপানো হয়েছে। প্রথম আলোর ৭ ই মে ১৩ নাম্বার পাতায় হাউজবিল্ডিং এ গাড়ির ধবংসস্তুপের ছবি ছাপিয়ে হেফাতরের হুজুরদেরকে দায়ি করা হয়েছে।http://eprothomalo.com/displaypage.php?id=2013_05_07_13_0_b

আগুন লাগানোর ভিডিয় লিংকঃ http://www.2shared.com/video/iVXwhlpX/hefajot6.html

বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে নিচের ছবিটা দেখে (from Video) 

শেষ করছি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একটি বাণী দিয়েঃ

আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না। (২:154)


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন